বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বাহুবলে ধান ক্ষেত থেকে ডাকাতের গলাকাটা লাশ উদ্ধার বিজিবি-সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে সাড়ে ৪ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ সীমানা পরিবর্তন হলো ৪৬ সংসদীয় আসনের চুনারুঘাটে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন, স্পষ্ট বার্তা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র ঝুঁকিমুক্ত নয়: তারেক রহমান জাপা কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষ:  লাঠিচার্জে আহত গণ অধিকার পরিষদের নেতা নুর চুনারুঘাটে বাল্লা স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থগিত চুনারুঘাটের কৃতি সন্তান আব্দুর রহমান তরফদার সচিব পদে পদোন্নতি বাহুবলে দলিল লিখক সমিতির নয়া কমিটি গঠিত

আজমিরীগঞ্জে এন্ড্রয়েড মোবাইল দিলেই মিলছে পদ-পদবি !

রায়হান উদ্দিন সুমন : মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন দিলেই মিলছে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের গুরুত্বপুর্ণ পদ! এমনি একটি মোবাইলের কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গতকাল থেকেই ভাইরাল হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া অডিওটি “আজমিরীগঞ্জের বাণী” নামক এই আইডি থেকে ছড়িয়ে দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে খোদ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীরাই ক্ষোভ জানিয়েছেন। ফাঁস হওয়া এই অডিওটি এই প্রতিবেদকের হাতে এসে পৌছেছে। ফাঁস হওয়া অডিও রেকর্ড থেকে জানা যায়, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি অচিরেই ভেঙ্গে দেয়া হবে জেনে বর্তমান উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন ও একই উপজেলার বিরাট গ্রামের আমিনুলের হকের মধ্যকার পদ-পদবি নিয়ে দেনদরবার চলে।

আজমিরীগঞ্জের বাণী নামে এক ফেইসবুক আইডি থেকে অডিও রেকর্ডের স্ক্রীনসর্ট

একপর্যায়ে আমিনুল আমিরকে ফোন দিয়ে কোন পদ দেয়া হবে জানতে চায়। পরে আমির হোসেন আমিনুলকে আজমিরীগঞ্জ থানার সর্বোচ্চ পদ দেয়ার লোভ দেখায়। পরবর্তীতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বা সাংগঠনিক দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন আমির হোসেন। বিনিময়ে তাকে ৫/৬ হাজার টাকা মূল্যের একটি এন্ড্রয়েড মোবাইল দেয়ার কথাও  জানায় সে। অডিওর একফাঁকে আমিনুল তার কাছে এতটাকা নাই বলে আমির হোসেনকে বলে দেয়। এই কথা শুনে সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন  এই এন্ড্রয়েড ফোন দেয়ার জন্য খুব অনুনয় করে। টাকা না থাকলে বাজারের মঞ্জিল মিয়ার দোকান থেকে বাকিতে মোবাইল কেনার জন্য পদপ্রার্থী আমিনুলকে বলে তিনি।

এই বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন-বিষয়টি সম্পুর্ণ অনাকাঙ্খিত। খামখেয়ালিভাবে কথাবার্তা হয়েছে। পদ দেয়ার মালিক আমি না। আমাকে ফাঁসানোর জন্যই এই রেকর্ডটা ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে ছাত্রলীগের এই নেতার অডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় পুরো উপজেলা জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে রসালো আলোচনা। টাকার বিনিময়ে বা কোনো কিছুর বিনিময়ে ছাত্রলীগের পদ-পদবি যারা বিক্রি করতে চায় তাদেরকে সংগঠন থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করার কথাও জানা কেউ কেউ। গুটিকয়েক নেতাকর্মীর জন্য এই ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনের উপর কালেমা লেপন হবে তা কেউ মানতে পারছেন না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com